ক্রেতাকে কখনোই বোকা ভাববেন না। কারন, ঠিক এই মুহুর্তে আপনার ক্রেতার অনুসন্ধানী মস্তিষ্ক অন্য কিছু খূঁজে বেড়ায় !
একজন বিক্রেতা হিসেবে সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে পণ্যের ক্রয়মূল্য গোপন রেখে সর্বোচ্চ বিক্রয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করা।
আর ক্রেতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপনে পণ্যের ক্রয়মূল্য জেনে নিয়ে বিক্রেতাকে ফাঁদে ফেলে প্রায় মুনাফা বিহীন এবং সর্বনিম্ম মূল্যে উক্ত পণ্য হাসিল করা।
তাহলে ক্রেতা তার উদ্দ্যেশ্য পূরণে কি কি পথ অবলম্বন করে?
প্রথমেই ক্রেতা তার পণ্য বাছাই করে। অতঃপর
এই সবই হলো একেকজন সাধারন ক্রেতার দৃষ্টিভঙ্গি । আর এই কাজগুলো তারা কেন করে?
এই কাজগুলো করে তারা একমাত্র বিক্রেতার মুনাফাকে সর্বনিম্ম করে সবচেয়ে কম দামে পণ্য ক্রয় করার জন্য।
এটাতো গেলো কেবল একদল সাধারন ক্রেতার বিষয়। কিন্তু আপনার দোকানের সবাই কী সাধারন ক্রেতা?
মোটেও না, প্রত্যেকটি দোকানে এমন কিছু স্মার্ট ও শিক্ষিত ক্রেতা অবশ্যই রয়েছে- যাদের কথা আমি শুরুতেই বলেছি। হ্যা ঠিক একই সময়ে আপনার স্মার্ট ক্রেতাদের অনুসন্ধানী মস্তিষ্ক অন্য কিছু খূঁজে বেড়ায়।
স্মার্ট ক্রেতাগণ এতোটাই সচেতনার সাথে তাদের অনুসন্ধান চালায় যে, খুব সহজেই তারা আপনার বিজনেসের গোঁড়ায় পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে আপনার ব্যবসার সবচেয়ে গোপনীয় তথ্যগুলোও তাদের কাছে চলে আসে।
এতে আপনার ক্ষতি কী ?
এতে আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো, ক্রেতা যখন আপনার পণ্যের ক্রয় মূল্য জেনে যায়, তখন
আর আপনি কী জানেন, আপনার এই দূরাবস্থার জন্য তখন কে দায়ী হবে ?
আর কেউ না, আপনার এই দূরাবস্থার জন্য আপনি নিজেই দায়ী হবেন !
কারন আপনার কাস্টমার স্মার্ট হয়ে গেলেও আপনি স্মার্ট হতে পারেননি ! আর এই কারনেই আপনার ব্যবসার ক্ষতি আপনি নিজেই ডেকে নিয়ে আসবেন । কেননা, বুদ্ধিমান ক্রেতারা আপনার পণ্যে ব্যবহৃত গতানুগতিক প্রাইস কোডের সংকেতগুলোকে কিছুটা বিশ্লেষণ করলেই খুব সহজেই পণ্যের ক্রয় মূল্য সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবে।
বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে মজুদকৃত পণ্যে ব্যবহৃত গোপন প্রাইস কোডটি হলো- সিম্বলিক (Symbolic) বা কোড আকারে লিখিত একটি বিশেষ সংখ্যা বা সংকেত যা পণ্যের ক্রয় মূল্য নির্দেশ করে।
প্রাইস কোডসমূহ পণ্যের গায়ে কিংবা মোড়কে কম্পিউটার প্রিন্ট করে অথবা ট্যাগ লাগিয়ে তার উপরে স্থায়ী মার্কার দিয়ে লিখে রাখা হয়।
প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ব্যবসায়ী বা বিক্রেতাই গোপন প্রাইস কোড তৈরির ক্ষেত্রে 1,2,3, ....... এর ক্রমিক মানকে ইংরেজী Letter বা অক্ষরে, যেমন A,B.C,D.........X,Y,Z এর মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। খুব অল্প পরিমাণ বিক্রেতা আবার 1,2,3, .... এর ক্রমিক মানসমূহকে রোমান সংখ্যায়, যেমন i, ii, iii, iv, .... ix, x অথবা আরবি, চাইনিজ, জাপানিজ ইত্যাদি ভাষার ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করে থাকেন।
অপরদিকে স্মার্ট প্রাইস কোড হলো এনক্রিপ্টেড কোডিং সিস্টেম, যার মান নির্ণয় করা বাহিরের কারোর পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। কেননা এটি কোন ইংরেজী Letter বা বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয় না, এমনকি গুগুল লেন্স ব্যবহার করেও এর কোন অস্তিত্ব কেউ খূঁজে পাবে না। কারন স্মার্ট প্রাইস কোডে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি সংকেতের সাংকেতিক মান তার ইউজার ব্যতীত অন্য কারও কাছে সংরক্ষিত নেই !
আপনি যদি এখনও পণ্যের গায়ে গোপন প্রাইস কোডটি ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে আমি বলছি- এখনি শুরু করে দিন।
কারন, একজন ব্যবসায়ী কিংবা বিক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয়ের মুহুর্তে অথবা যে কোন সময় যে কোনও ধরনের পলিসি বা পন্থা অবলম্বনের প্রয়োজন হতে পারে।
যেমন, আধুনিক প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ছাড়ে বা ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রয় করতে হয়। এখন আপনি যদি পণ্যের ক্রয় মূল্যই না জানেন, তাহলে কাস্টমারকে ছাড় দিবেন কিভাবে?
এছাড়াও আপনি যদি আপনার ব্যবসার সামগ্রিক অগ্রগতি কিংবা লাভ-ক্ষতিও নির্ণয় করতে চান, তাহলে কিসের ভিত্তিতে করবেন? অবশ্যই বর্তমান পণ্যের স্টক হিসেব করবেন। তাহলে এখানেও আপনার প্রতিটি পণ্যের মূল্য জানা থাকা বাধ্যতামূলক, যা আপনি পণ্যের গায়ে লিখিত প্রাইস কোডের মাধ্যমে অনায়াসেই জেনে নিতে পারবেন।
অথবা ধরুন, আপনি ব্যবসা ছেড়ে বিদেশ চলে যাবেন কিংবা অন্য কারও কাছে ব্যবসা হস্তান্তর করবেন, তখন দ্বিতীয় পক্ষকে কিসের ভিত্তিতে আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের হিসেব বুঝিয়ে দিবেন বা তার মূল্য নির্ধারন করবেন? এখানেও কিন্তু প্রাইস কোড ব্যবহারের কোনও বিকল্প নেই!
শুধু তাই নয়, উপরোক্ত ক্ষেত্রসমূহ ছাড়া আরও অনেক ক্ষেত্রেই পণ্যের গায়ে গোপন প্রাইস কোড ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রথমেই মনে রাখবেন, যদি কোনও কিছুর উৎস জানা থাকে তাহলে তার সাহায্যে সৃষ্ট যে কোন জটিল সমীকরণের সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।
উদাহরণস্বরূপ, X ও Y দুইটি চলক রাশির একটির মান জানা থাকলে যেমন অন্যটি খুব সহজেই বের করে ফেলা সম্ভব। তেমনি আপনার দোকানের হাজার হাজার পণ্য হতে কেবল মাত্র একটি পণ্যের ক্রয় মূল্য জেনে ফেললেই বাকি সব পণ্যের ক্রয় মূল্যের সকল তথ্য আপনার প্রতিযোগি কিংবা কাস্টমারের হাতে চলে আসবে খুব সহজেই। শুধু তাই নয়, ১ থেকে ৯ পর্যন্ত যেকোন একটি সমমানের অক্ষরও (যেমন A, B, C, D,......) যদি কেউ জেনে যায় , তাহলে আপনার সব তথ্যই ফাঁস হয়ে যাবার সুযোগ রয়েছে।
গোপন প্রাইস কোড হ্যাক বা চুরি হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আপনাকে end-to-end encryption সিস্টেমের স্মার্ট প্রাইস কোড ব্যবহার করতে হবে ।
End-to-end encryption সিস্টেম মানে হলো যেখানে শুরু সেখানেই শেষ ! অর্থাৎ আপনার প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা প্রাইস কোড ব্যবহৃত হবে। কাজেই কোনও একটি পণ্যের প্রাইস কোড জেনে গেলেও বাকি পণ্যগুলোর প্রাইস কোড থাকবে নিরাপদ।
এছাড়াও end-to-end encryption প্রক্রিয়ার এই অক্ষরগুলোও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র অর্থাৎ আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোনও ভাষাতেও এই অক্ষরগুলো ব্যবহৃত হয়নি। কাজেই গুগুল লেন্স ব্যবহার করেও কেউই এই অক্ষরের সঠিক মান খূঁজে বের করতে পারবে না।
এছাড়াও ১ থেকে ৮ পর্যন্ত সবগুলো কোডও যদি কাউকে শিখিয়ে দেওয়া হয়, তবুও ৯ নং কোডটি কী হতে পারে সেটি খূঁজে বের করাও তার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার ।
স্মার্ট প্রাইস কোড নিয়ে আজই আপনার বিজনেসের সিকিউরিটি সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তুলুন। অন্তত একবার হলেও ব্যবহার করে দেখুন, অবশ্যই সন্তুষ্ট হবেন ইনশা-আল্লাহ !
Package Name: Combo Package
Order Date:
Description | Quantity | Unit Price | Total |
---|---|---|---|
Pattern Letter | 5 | ৳450 | ৳450 |
Subtotal: | ৳450 | ||
Discount: | ৳150 | ||
Total: | ৳250 |
Total Amount:
৳450 ৳250